সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, উপস্থিত সুধীমণ্ডলী এবং প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম ও শুভেচ্ছা।
আজ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস। এই দিবসটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। উৎপাদনশীলতা মানে শুধু বেশি কাজ করা নয়, বরং কম সম্পদ ব্যবহার করে সর্বোত্তম ফলাফল অর্জন করা।
উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব
আমাদের দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। এই যাত্রায় উৎপাদনশীলতা হলো আমাদের প্রধান চালিকাশক্তি। কৃষি, শিল্প, সেবা – প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারলে আমরা:
- জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারব
- বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব
- কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব
- জনগণের জীবনমান উন্নত করতে পারব
আমাদের করণীয়
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়ের সদ্ব্যবহার এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও আমাদের উৎপাদনশীল হতে হবে। প্রতিদিনের কাজে পরিকল্পনা, সময়ানুবর্তিতা এবং মনোযোগ – এই তিনটি বিষয় আমাদের ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
উপসংহার
উৎপাদনশীলতা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এটি একদিনে অর্জিত হয় না। এজন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা এবং দেশপ্রেম। আসুন, আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি – প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস সফল হোক।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ
আমি একটি আইটি ফার্মের রিলেশনশীপ অফিসার। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ করছি। অবসর সময়ে লেখালেখি করি।